* আইএফআইসি ব্যাংকের পরিচালক পদ হারালেন সালমানপুত্র * সোনালী, জনতা ও অগ্রণী ব্যাংকে ছোট ছোট বিক্ষোভ * বিক্ষোভে উত্তাল পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক প্রাঙ্গণ
আন্দোলনের ঢেউ ব্যাংকিং সেক্টরে
- আপলোড সময় : ১৫-০৮-২০২৪ ১২:৫০:৩২ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ১৫-০৮-২০২৪ ১২:৫০:৩২ পূর্বাহ্ন
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের ধাক্কা লেগেছে কয়েকটি বেসরকারি ব্যাংকে। রাজনৈতিক প্রভাব, অনিয়ম স্বেচ্ছাচারিতা ও নিয়োগ বাণিজ্যসহ সীমাহীন দুর্নীতির অভিযোগ এনে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিভিন্ন ব্যাংকের পরিচালনা পর্যদ ভেঙে দেয়ার জন্য আন্দোলনেও নেমেছে। বেশ কয়েকটি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ভবনের সামনে এ নিয়ে বিক্ষোভ হচ্ছে। ওয়ান ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ হয়েছে। এছাড়া সোনালী, জনতা ও অগ্রণী ব্যাংকে ছোট ছোট বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সুশাসনের ঘাটতির সুযোগ নিয়ে ব্যাংক থেকে ঋণ জালিয়াতি থেকে শুরু করে বেসরকারি খাতের কয়েকটি ব্যাংকের পরিচালনা চলে যায় গুটিকয়েক ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর হাতে। রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনের ফলে এখন সেই ব্যাংকগুলো দখলমুক্ত করতে সোচ্চার হয়ে উঠেছেন ব্যাংকগুলো থেকে বিতাড়িত মালিক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এতে ব্যাংক খাতে একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। এই তদারকি যারা করবে, সেই বাংলাদেশ ব্যাংকেও চলছে অস্থিরতা। তবে ব্যাংক খাতের এ পরিস্থিতিতে বেশিরভাগ ব্যাংকের ঋণ অনুমোদন ও বিতরণ বন্ধ রয়েছে বলে জানান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
এমন পরিস্থিতিতে দেশের তৃতীয় ও চতুর্থ প্রজন্মের বেশ কয়েকটি ব্যাংক ‘ক্লিনিক্যালি ডেড’ হয়ে পড়েছে বলে মনে করছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। জনগণের অর্থে পুঁজি পুনর্ভরণ করে এই ব্যাংকগুলোকে আর কৃত্রিমভাবে বাঁচিয়ে রাখার পক্ষে নয় সংস্থাটি। ধানমন্ডিতে সিপিডির কার্যালয়ে ‘ব্যাংকিং খাতের সুশাসন ফিরিয়ে আনতে করণীয়’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এই সুপারিশ তুলে ধরেন সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন।
এদিকে এমন অভিযোগে ঋণখেলাপির দায়ে বেসরকারি আইএফআইসি ব্যাংকের পরিচালক পদে পুনঃনিয়োগ পাচ্ছেন না আহমেদ সায়ান ফজলুর রহমান। বাংলাদেশ ব্যাংক তার পুনঃনিয়োগের আবেদন নাকচ করে দিয়েছে। গত রোববার আইএফআইসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে চিঠি দিয়ে একথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সায়ান ফজলুর রহমান ব্যবসায়ী সালমান এফ রহমানের ছেলে, যিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন। সালমান এফ রহমানকে নিউমার্কেট থানার একটি মামলায় গত মঙ্গলবার গ্রেফতার করা হয়েছে। আইএফআইসি ব্যাংকে পাঠানো বাংলাদেশ ব্যাংকের চিঠিতে বলা হয়, ২০২৪ সালের ২৭ জুন ব্যাংকের ৪৭তম বার্ষিক সাধারণ সভায় আহমেদ সায়ান ফজলুর রহমানকে পরিচালক হিসেবে পুনঃ নির্বাচিত করা হয়। তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান এসেস ফ্যাশনস লিমিটেডের নামে খেলাপি ঋণ থাকায় ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী তাকে ব্যাংকের পরিচালক হিসেবে পুনর্নিযুক্তির প্রস্তাব পুনর্বিবেচনার সুযোগ নেই।
গত দুদিন ধরেই পুরানা পল্টনে ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ে দুই শতাধিক ব্যক্তি ‘আইএফআইসি ব্যাংকের চাকরিচ্যুত সকল কর্মকর্তাবৃন্দ’ ব্যানারে বিক্ষোভ করে। তাদের অভিযোগ, আইএফআইসি ব্যাংক থেকে সালমান রহমান হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছেন। তার সহযোগী হিসেবে কাজ করছেন সাবেক এমডি শাহ এ সরোয়ার, যিনি বর্তমানে ব্যাংকটির উপদেষ্টা। তিনি অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরি থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করছেন। এদিকে কিছুদিন আগে মালিকানা বদল হওয়া ন্যাশনাল ব্যাংকে আবার মালিকানা বদলের গুঞ্জন উঠেছে। কিছুদিন আগে সিকদার গ্রুপের হাত থেকে বেসরকারি খাতের ন্যাশনাল ব্যাংকের মালিকানা তুলে দেয়া হয় এস আলম গ্রুপের হাতে।
ব্যাংকের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, বিএনপি নেতা আব্দুল আউয়াল মিন্টু ব্যাংকটির মালিকানা থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়েছিলেন এক সময়। এখন আবার মালিকানায় ফেরার চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে।
ওয়ান ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকসহ কয়েকটি ব্যাংকে বিক্ষোভের খবর পাওয়া যাচ্ছে। অন্যদিকে সুযোগ-সুবিধা ও ইনসেনটিভের দাবিতে এই কয়েকদিনে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সোনালী, জনতা ও অগ্রণী ব্যাংকে ছোট ছোট বিক্ষোভ হয়। পদোন্নতির ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার কর্মকর্তারা বিক্ষোভ করেন। গত ৫ অগাস্ট সরকার পতনের পর শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকটিকে এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণমুক্ত করতে একটি পক্ষ সোচ্চার হয়েছে। তারা ২০১৭ সালে ইসলামী ব্যাংক থেকে বের করে দেয়া কর্মীদের ফিরিয়ে আনা এবং পটিয়াভিত্তিক কর্মীদের বের করে দেয়ার দাবি তুলছে। এর জের ধরে রোববার ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ের সামনে গোলাগুলি ও সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত ৬ জন আহত হয়েছে। এর আগেই ইসলামী ব্যাংকে এস আলম গ্রুপের কাউকে ঢুকতে না দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। রোববার একটা পর্যায়ে এস আলমের লোকজন সিটি সেন্টারে অবস্থান নেয়। তারা মিছিল নিয়ে প্রধান কার্যালয়ে প্রবেশ করতে চায়। তখন ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তারা তাদের প্রতিহত করতে গেলে এস আলমের লোকজন তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। তাতে ছয়জন আহত হয়। ইসলামী ব্যাংককে জামায়াতে ইসলামীর নিয়ন্ত্রণমুক্ত করার দাবি উঠেছিল শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলন থেকে।
এরপর ২০১৭ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ব্যাংকটিতে হস্তক্ষেপ করে। পরিচালক অপসারণ, পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠনের পাশাপাশি মালিকানাতেও পরিবর্তন আসে। এই প্রক্রিয়ায় ব্যাংকটির বড় অংশের মালিকানা চলে যায় সরকারের ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত এস আলম গ্রুপের কাছে। লাভজনক এই ব্যাংকটি তারপর থেকে নাজুক দশায় পড়ে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এখন ইসলামী ব্যাংকের পুরনোরা ব্যাংকটির নিয়ন্ত্রণ নিতে চাইছে বলে খবর আসছে। তাতেই দেখা দিয়েছে সংঘাত। এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণমুক্তির দাবিতে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারধারীদের সংবাদ সম্মেলন হয়। সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকেও মালিকানা বদলের চেষ্টা চলছে। এই ব্যাংকটিও এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণাধীন। কিন্তু সরকার পতনের পর গত বৃহস্পতিবার নিয়ন্ত্রণ নেন সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল হক। দুই ডিএমডিকে পদত্যাগে বাধ্য করেন তার সমর্থকরা।
ব্যাংকটি পুরনো মালিকদের হাতে ফেরৎ দেয়ার দাবিতে রোববার সংবাদ সম্মেলন হয়েছে জাতীয় প্রেসক্লাবে। একই দাবিতে মানববন্ধনও হয়েছে। ১৯৯৫ সালে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠার সময় ব্যাংকটির অন্যতম উদ্যোক্তা পরিচালক রেজাউল হক পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০১৭ সালে এস আলম গ্রুপ ব্যাংকটির কর্তৃত্ব নেয়ার পর গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদের আত্মীয়দের দ্বারাই ব্যাংকটি পরিচালিত হয়ে আসছিল। বর্তমানে তার জামাতা মো. বেলাল আহমেদ ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান। গত ৭ বছর আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী এস আলম ও তার সহযোগীরা ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা নামে-বেনামে লুট করেছে বলে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনকারীদের অভিযোগ।
রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনের পর ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা গত ৮ আগস্ট ব্যাংকের মালিকানা এবং সাধারণ শেয়ার হোল্ডারদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করার জন্য বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার জন্য মতিঝিলের সিটি সেন্টারে অবস্থিত ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে যায়। তবে সেখানে এস আলমের সময়ে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তারা হট্টগোল শুরু করে এবং এক পর্যায়ে বিগত পর্ষদের সময়ে নিয়োগ পাওয়া ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা মো. মাসুদ মিয়াকে মাথায় আঘাত করা হয়। সে সময় টহলরত সেনা কর্মকর্তারা তাকে উদ্ধার করে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, তার মাথায় ৩০টি সেলাই দিতে হয়েছে।
এস আলমের বাড়ি চট্টগ্রামের পটিয়ার অনেকে গত আট বছরে ব্যাংকটিতে নিয়োগ পেয়েছে। তারা রোববার ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে পুরনো কর্মকর্তাদের লাঞ্ছিত করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এরপর থেকেই এস আলম গ্রুপ ব্যাংকটির নিয়ন্ত্রণ হারায়। বেসরকারি এই ব্যাংকটি সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও তার পরিবারের নিয়ন্ত্রণমুক্ত করার দাবিতে গত বৃহস্পতিবার গুলশানে ইউসিবির প্রধান কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে ব্যাংকের দেড় শতাধিক শেয়ারধারী।
এই সময় তারা বিভিন্ন ব্যানার-ফেস্টুন প্রদর্শন করে সাবেক ভূমিমন্ত্রীর ‘বিদেশে অর্থ পাচার’ ও ব্যাংকটির নানা অনিয়ম নিয়ে অভিযোগ তুলে ধরে। ব্যানারে লেখা ছিল স্বৈরাচার সরকারের সাবেক ভূমিমন্ত্রী দুর্নীতিবাজ। অবৈধভাবে লন্ডনে ইউসিবি ব্যাংকের ১২ হাজার কোটি টাকা পাচারকারী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ ও তার পরিবার থেকে ইউসিবি ব্যাংকের মুক্তি চাই। লুটেরাদের প্রতিহত কর। ইউসিবি ব্যাংক রক্ষা কর। গত বুধবার কয়েকজন শেয়ারহোল্ডারের নামে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও বিএসইসি চেয়ারম্যান বরাবর একটি চিঠি দেয়া হয়। চিঠিতে ব্যাংকের আর্থিক খারাপ অবস্থার চিত্র তুলে ধরে অবিলম্বে মালিকানা বদল চাওয়া হয়।
এদিকে গত বুধবার দুপুরে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক ইস্কাটনের প্রধান কার্যালয়ের সামনে ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ মো. জামিনুর রহমান (চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ) তার অনুগত দুই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা আল্লামা মোহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া তানহা ( সিস্টেম এনালিস্ট) ও সিনিয়র সিস্টেম এনালিস্ট শাহেদ মোহাম্মদ আলমগীরের ক্ষমতার অপব্যবহার ও সীমাহীন দুর্নীতি, ঘুষ বাণিজ্যের প্রতিবাদে তাদের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন ব্যাংকের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
অপরদিকে আরো কয়েকটি বেসরকারী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেয়ার দাবিতে আন্দোলন করছে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান মনসুর আর্থিকখাতে শৃঙ্খলা আনতে সবার আগে ব্যাংক লুটেরাদের শাস্তি দিতে চান, কমাতে চান মূল্যস্ফীতি। তবে রাজনৈতিক অস্থিরতার এই সময়ে প্রত্যাশার পারদ না চড়াতেও সবার প্রতি আহ্বান রেখেছেন এই অর্থনীতিবিদ। তিনি বলেছেন, আমার কাছে এমন কোনও ম্যাজিক নেই, যা দিয়ে রাতারাতি সব ঠিক করে ফেলবো। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার পদত্যাগ করেন। ড. মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর গভর্নর হিসেবে গত মঙ্গলবার নিয়োগ পেয়েছেন আহসান মনসুর।
নতুন গভর্নর বলেন, গত কয়েক বছরে ব্যাংকিং খাতে বড় বড় লুটের ঘটনা ঘটেছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসাবে বাংলাদেশ ব্যাংক কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এই সব ব্যাংক লুটেরাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে চাই। আর এরমধ্য দিয়ে ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে চাই।
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ